(44)
কূড়া জমি আছে। সে জমিনের মালগুজারি আদ্যোপান্ত তিন টাকা দিয়া আসিতেছি এখন অন্যায় করিয়া পাঁচ টাকা মালগুজারি চাহেন কাগজপত্র মানেন না কহেন তোমাকে পাঁচ টাকা মালগুজারি দিতে হবে। কপর্দ্দক রেয়াত হইবে না। মহাশয় তাহাকে এক লিখন আমার তরে লিখেন যে অন্যায় না করেন।
আচ্ছা। তোমার তরে আমি লিখন লিখি তাহা যদি না মানেন তবে আমার যথেষ্ট অমর্য্যাদা।
মহাশয় লিখিলে অবশ্য মানিবেন ইহা আমার খুব খাতিরজমা আছে আমাকে অনেকে কহিয়া দিয়াছে ফলানা মহাশয়ের নিকট যাও তবে এ বিষয় অবশ্য কিনারা হইবে। আমি মহাশয়ের শরণাগত আমার ইহার উদ্ধার মহাশয় করিয়া দেন তবে উদ্ধার হয় নতুবা আর কারু সাধ্য নয়। ইহাতে মহাশয়ের পুণ্য প্রতিষ্ঠা আছে।
ভাল তোমার উপকার যাতে হয় তাহা আমার কর্ত্তব্য আমি লিখন লিখি না মানে লাচার।
মজুরের কথা বাৰ্ত্তা।
ফলনা কায়েতের বাড়ী মুই কায করিতে গিয়াছিনু। তার বাড়ী অনেক কায আছে। তুই যাবি।
না ভাই। মুই সে বাড়ীতে কায করিতে যাব না। তারা বড়ঠেটা। মুই আর বৎসর তার বাড়ী কায করিয়াছিলাম। মোর দু দিনের কড়ি হারামজাদগি করিয়া দিল না মুই সে বেটার বাড়ী আর যাব না।
কেন ভাই। মুইত দেখিলাম সে মানুষ বড় খারা মোকে আগু এক টাকা দিয়াছে আর কহিয়াছে তুই আর লোক নিয়া আসিস মুই আগাম টাকা তাকে দিব।
আচ্ছা ভাই। যদি তুই মোকে সে বাড়ী নিয়া যাবি তবে মুই তোর ঠাঁই মোর খাটুনি নিব।
ভাল ভাই। তুই চল তোর যত খাটুনি হবে তা মুই তোকে দিব।