(64)
রাঁড়ির কথা। তুই আমার কি অহঙ্কার দেখলি তিনকুলখাগি আমি কি দেখে তোর ছেল্যার মাথার উপর দিয়া কলসি নিয়া গিয়াছিলাম যে তুই ভাতার পুত কেটে গালাগালি দিচ্ছিস। তোর ভালোতার মাথা খাই হালো ভালডা খাগি তোর বুকে কি বাঁস দিয়াছিলাম হাতে।
থাকলো ছারকপালী গিদারি। তোর গেদায় ছাই পলো প্রায়। যদি আমার ছেলের কিছু ভাল মন্দ হয় তবে কি তোর ইটা ভিটা কিছু থাকিবে। যা মনে আছে তা করিব। তখন তোমার কোন বাপে রাখে তাই দেখিব। হে ঠাকুর তুমি যদি থাক তবে উহার তিন বেটা যেন সাপের কামড়ে আজি রাত্রে মরে ও যদি কালি প্রাতঃকালে বাছা২ করে কান্দে তবেই ও অহঙ্কারির অহঙ্কারে ছাই পড়ে। হা বউরাঁড়ি তোর সর্ব্বনাশ হউক। তোর বংশে বাতি দিতে যেন কেউ থাকে না।
ওলো তোর শাঁপে আমার বাঁ পার ধূলা ঝাড়া যাবে। তোর ঝি পুত কেটে দি আমার ঝি পুতের পায়। যালো যা বারোদুয়ারি ভাড়ানি হাট বাজার কুড়ানি খানকি যা। তোর গালাগালিতে আমার কি হবে লো কন্দলি।
আই২। এমন কৰ্ম্ম কি ও দেখে করেছে তা নয়। ওও পেয়াতি বটে। যা বুন। তুইও যা। ওও যাউক।। আর ঝকড়া কন্দলে কায নাই। পাড়া পড়সি রাত পোহালেই দেখা হবে। এত বাড়াবাড়ি কেন।
স্ত্রীলোকের হাট করণ।
হাটে যাবা গো।
যাবগো। তোর কি আনিতে হবেতে।