EARLIEST BENGALI JOURNALISM ~ 231 নদীতে ফেলিত, তংপ্রযুক্ত নদীর জল এমত শবেতে পুরিল যে তাহার মৎস অখাছা হইল, এবং অনেক মতসভোজী ততক্ষণাৎ মরিল. তৎসময়ে আগস্ট মাসে অতিদূর আকাশে একটা ভয়ানক ছুর্লক্ষণদরশশন হইল; তাহার বর্ণ কৃষ্ণমেঘের হায়, সে কখন কথন ক্র্যযকে আচ্ছাদিত করিল, এবং কলিকাতার উপরি ভাগে অনেক দূরপর্ধ্যন্ত ব্যাপ্ত হইল; যে দিন অতিশয় গ্রীষ্ম সেই দিন এ মেঘ নীচে দৃষ্ট হইল, তাহাতে তিন দিন পর্যান্ত লোকেরদের অনেক ভাবনা জন্মিল,. তৃতীয় দিবসে মেঘারম্ত ও অতিশয় গ্রীষ্ম হইলে এ ee মেঘ এত নীচে আইল যে সকলে স্থন্দররূপ দর্শন করিতে পাইল, তখন বিশেষরূপে জানা গেল যে দংশকীটের মত বড় পতঙ্গ রক্তবর্ণ শরীর ও মস্তক ও চক্ষু বড় ও মধুমক্ষিকার মত শ্রেণীবদ্ধ উড়িবার সময়ে অতিখজু রেখার ন্যায়; কিন্তু তাহাহইতে লোকেরদের এমত ভয় হইল যে কেহ তাহার একটাকেও ধরিল না. সাইত্রিশ পলপর্যান্ত বৃষ্টি সমকালীন সকলে একস্থানে নিশ্চিন্ত রূপে রহিল. পরে চারিহস্ত উদ্ধে উঠিল এবং কিঞ্চিংকাল পরে তত নামিল, পরে বামু কোণহইতে একটা বায়ু উঠিয়া ছুই দিন পধ্যন্ত থাকিল, এ বায়সত্বে পূর্বমত উঠিল ও নামিল কিন্ত অধিক শীঘ্বদূপে. তাহার পরদিবস অতিপ্রত্যষে আকাশ শূন্য দেখা গেল, এই মেঘদর্শন হওনের পূর্ব কতকদিন ভেক ও কীটাদি রাত্রিকালে বুষ্টিপতন সময়ে অবিরত শব্দ করিয়াছিল, তাহারা এককালে এমন অদৃশ্য হইল যে নদী ভিন্ন আর কোনখানে তাহারা দেখা গেল না ও শুন! গেল না. এই ছুর্ভিক্ষ জলাভাবপ্রযুক্ত হইয়াছিল. বঙ্গভূমিতে ছুই ফসল জন্মে, এক ফসল ক্ষুদ্র শম্ত ও অন্য মহাফসল ধান্ঠাদি. কিন্তু ১৭৬৯ সালে জলাভাবপ্রযুক্ত মহাফসল ধান্যাদি জন্মিল না, এবং সন ১৭৭০ সালেও ক্ষুদ্র ফসল জন্মিল না ইহাতেই পূর্বলিখিত দুর্দশা উপস্থিত হইয়াছিল. এই দ্রর্ভিক্ষ অগ্যাপি বঙ্গভূমিস্থ লোকেরদের মন হইতে লুপ্ত হয় নাই. এবং অনেক বুদ্ধলোকেরা আপনারদের যৌবনকালীন ক্রিয়ার সময় সেই ছুর্ভিক্ষ বৎসর দ্বারা গণনা! করেন.
Digdaréan, April 1820, pp. 167-173; the English translation is omitted.