440 BENGALI LITERATURE লড়াই হইত । সে বাছের নাম “সাজ-বাজানো”। সাজবাজনার পর «ঠাকৃরুণ-বিষয় ৮ বা * শ্ঠামা-বিষয় ”। প্রথমেই শ্ঠামা-বিষয়ক একটি গান সকলে মিলিয়া গাইবার পর কাটান্দার উক্ত বিষয়ের ছড়া কাটাইতেন। অর্থাৎ এ কার্যের উপযুক্ত কোনো এক ব্যক্তি উপযুক্ত অঙ্গ ভঙ্গীর সহিত, কখনো বা সহজ গলায়, কখনো বা এক প্রকার স্থরের সাহাযো, কখনো বা পদ্য, কখনো বা গছ্যের ছুট কথায় উচ্চস্থরে ছড়া বিন্যাস করিতেন। কাটাইতে জানিলে তাহা শুনিয়া শ্রোতৃবর্গের লোমাঞ্চ হইত। ফলতঃ সুকবির রচনা ও সু-কাটান্দার কর্তৃক যোজনা হইলে নানা রস উদ্দীপনার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা | ছড়া কাটানো হইলে সকলে মিলিয়া আবার গান।... শ্তামাবিষয় প্রায় এক ছড়াতেই সমাপ্ত হইত, কিন্তু অনেক দলে ছুই তিনটি ছড়া, সুতরাং তিন চারিটি গানও হইত । সে যাহা হউক, এ দল শ্যামাবিষয় গাইয়া আপনাদের যন্তাদি সহিত উঠিয়া যাইতেন, প্রতিদন্্ী দল আসরে নামিতেন। তাহারাঁও এরূপ শ্ঠীমা বিষয় শেষ করিয়া উঠিয়া গেলে পুনর্বার পুর্বদল আসিয়া সাঁজ বাজাইয়া সথীসম্বাদের মহড়া গারূটি গাইয়! ছ়ী কাটাইতেন। প্রথম ছড়ার পর গান আবার দ্বিতীয় ছড়া ও তৃতীয় গান : আবার তৃতীয় ছড়া ও চতুর্থ গান এইরূপে কয়েকটি ছড়া ও কয়েকটি গানের পর তাহাদের প্রস্থান ও অপর দলের প্রবেশ এবং QA ছড়া গান হইয়। সখীসম্বাদ মিটিয়া যাইত। পরে বিরহের বেলাও এ প্রণালী অবলম্বিত হইত। একটি কথ! বলিতে অবশিষ্ট । যখন যে দল যে প্রসঙ্গের বিন্যাস হেতু আসরে নামিতেন, তখন তীহার1 যে কয়টা ছড়া ও গান করিতেন, তাহ1র সমুদ্রয়েতেই সেই একই বিষয়ের আন্পুর্বিক বর্ণনা থাকিত__বিভিন্ন ছড়ায় যে বিভিন্ন বিষয়, তাহা নয়। অর্থাৎ একদল সখীসম্বাদের সময় প্রথম ছড়ায় মাধুর, দ্বিতীয় ছড়ায় মান, তৃতীয় ছড়ায় দাঁন গাইতেন, তাহা হইবার যো নাই-_সব ছড়াতে সেই একই প্রসঙ্গ বিবৃত করিতেন । Such is the pamechali of the modern type. It is not known in what form it existed in earlier periods but the kind described began to be popular from the beginning of